রায়পুরা কলেজ সরকারি হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উল্লাস
আব্দুল কাদের (রায়পুরা-নরসিংদী) প্রতিনিধি::মাননীয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যে সব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই সেসব উপজেলাতে একটি করে কলেজ সরকারিকরণের আওতায় ২৭১টি কলেজকে সরকারি করা হলো।রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণ জারি করে। এরি আওতায় র্দীঘ জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রায়পুরাবাসীর র্দীঘ দিনে চাওয়া রায়পুরা কলেজটি জাতীয়করণ করা হলো। নরসিংদী জেলাতে জাতীয়করণ হয়েছে রায়পুরা উপজেলায় রায়পুরা কলেজ,বেলাবতে হোসেন আলী ডিগ্রি কলেজ,মনোহরদীতে মনোহরদী ডিগ্রি কলেজ,পলাশে পলাশ ডিগ্রি কলেজ।রায়পুরা উপজেলা ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।
উপজেলাটিতে ৩১২.৫০ বর্গ কিঃ মিঃ তে প্রায় সারে চার লক্ষ লোকের বসবাস।বৃহত্তর এই উপজেলার উচ্চ শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৬৭ সালে প্রায় ১১একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি।বর্তমানে কলেজটিতে ইন্টারমিডিয়েট,ডিগ্রি,অর্নাস মিলিয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৩৮৩ জন এর মধ্যে ছাত্র ১৮৯৩জন ও ছাত্রী ১৪৯০ জন।ডিগ্রি সহ অর্নাসের ৬টি বিষয় চালু আছে। কলেজটিতে রয়েছে একটি সুবিশাল হল রুম সহ একটি প্রশাসনিক ভবন, চারটি শিক্ষা ভবন, দ্বিতলা বিশিষ্ট দুটি হোস্টেল।৬৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারির দিয়ে চলেছে কলেজের পাঠদান।পরে শিক্ষক কর্মচারি ও রায়পুরা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রমজান,সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন সহ সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজুকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এমপি রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু বলেন আমার র্দীঘ দিনের স্বপ্ন ছিলো কলেজটি সরকারি হবে,দরিদ্র ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা লাভ করবে দেরিতে হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কলেজটি সরকারি হওয়ায় রায়পুরা বাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। রায়পুরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমজাত হোসেন জানান কলেজ সরকারি হলেও বিগত দিনের সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করবো।তিনি আরো বলেন এবারও আমাদের এইচএসসির রেজাল্ট ছিলো যতেষ্ট ভালো।কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতায় এটি সম্ভব হয়েছে।কলেজে কর্মরত রায়পুরা উপজেলা ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি রোসমত আলী কলেজ সরকারিকরণ হওয়ায় রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে কৃতজ্ঞতা জানান।কলেজটি জাতীয়করণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষায় আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন শিক্ষক কর্মচারি অবিভাবকর ও স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা। Start heare
কোন মন্তব্য নেই